• ঢাকা শুক্রবার
    ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যে কারণে কবুতরকে বার্তাবাহক হিসেবে বেছে নেয়া হতো

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২১, ০৮:৫২ পিএম

যে কারণে কবুতরকে বার্তাবাহক হিসেবে বেছে নেয়া হতো

সিটি নিউজ ডেস্ক

আমরা বিভিন্ন চলচ্চিত্রে দেখে থাকি, প্রেমিকাকে প্রেমপত্র পাঠাতে প্রেমিক কবুতরের পায়ে চিঠি বেঁধে দেয়। হ্যাঁ, গল্পগুলো ক্যামেরার সামনের হলেও বাস্তবেও চিঠি প্রেরক বা বার্তাবাহক হিসেবে কবুতরকেই কাজে লাগানো হতো।

প্রাচীনকালের একমাত্র যোগাযোগব্যবস্থা হিসেবে বিশ্বের এই ঐতিহ্যবাহী সনাতনী প্রথা এখনও ব্যবহার করছে কোনো কোনো দেশ। ইন্টারনেট জগতে এখন ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যাপের মতো অনেক আধুনিক প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করে থাকি। ফলে কবুতর দিয়ে বার্তা পাঠানোর বিষয়টি যেন এখন একটা গল্পকথার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে।কিন্তু একটা সময় ছিল যখন কোনো দুর্গম প্রান্ত যেখানে পত্রবাহকেরা পৌঁছতে পারতেন না, সেখানে বার্তা পাঠাতে কবুতর মাধ্যমই ছিল একমাত্র উপায়। এর জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। বার্তা পাঠানোর জন্য সেনাবাহিনীতেও কবুতরকে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এই প্রথা তিন হাজার বছর আগে থেকে মিসরীয়রা প্রথম ব্যবহার করেন। পরে ধীরে ধীরে অন্য জাতিও এই প্রথা রপ্ত করে।

কাক, টিয়া, কাকাতুয়ার মতো অনেক পাখিই আছে; যেগুলো সহজেই মানুষের আদব-কায়দা রপ্ত করতে পারে। কিন্তু তাদের এই কাজে ব্যবহার না করে কেন শুধু কবুতরকে বার্তাবাহক হিসেবে ব্যবহার করা হতো তা এবার জেনে নেয়া যাক।

কবুতরের গতিবিধি মানুষের অনুসন্ধানী মনকে নাড়া দিলো। তারা দেখল, কবুতর সকালবেলা যেকোনো স্থানে চলে যাক না কেন বিকেলে বা সন্ধ্যায় ঠিকই আবার নিজের বাসস্থানে ফিরে আসে। এছাড়াও একটি কবুতর এক দিনে হাজার কিলোমিটার পথ উড়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়,  ছয় হাজার ফুট উচ্চতাতেও উড়তে পারে কবুতর।

এ ব্যাপারটিকে কিভাবে দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগানো যায় তা মানুষের মাথায় চলে আসে। এরপর কবুতরকে বার্তাবাহক হিসেবে উপযুক্ত মনে করে তাকে প্রথাগতভাবে কাজে লাগাতে শুরু করে।

তবে এখানে শুধু আমরা সচরাচর যে কবুতর দেখতে পাই, সেগুলো নিয়ে বললে ভুল হবে। কারণ, সব কবুতরের এই বিশেষ ক্ষমতাটি ছিল না। এই বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন কবুতরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘রক পিজন’, যেগুলো ‘হোমিং পিজন’ নামে বেশি বিখ্যাত বা পরিচিত ছিল।

শুধু রাস্তা চেনার ক্ষমতাই নয়, গতির জন্যও কবুতরকে পত্রবাহক হিসেবে কাজে লাগোনোর জন্য বেছে নেয়া হতো। ঘণ্টায় ৮০-৯০ কি.মি. বেগে উড়তে পারে একটি কবুতর এসব কারণের জন্যই কবুতরকে পত্রবাহক বা বার্তাবাহক হিসেবে বেছে নেয়া হতো।

অর্ণব/এম. জামান

আর্কাইভ