প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২১, ০৮:৪৪ পিএম
বলিউডের
অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। বেশ কয়েকটি স্মরণীয় ছবির সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার
নাম। নায়িকা হিসেবে ততটা সফল না হলেও তার সৌন্দর্য ও পরিশীলিত অভিনয় নিয়ে আজও কথা হয়।
অভিনয়ের বাইরেও এই নায়িকার অনেক পরিচয় আছে। তিনি হলেন সমাজসেবা কর্মী, প্রযোজক।
পরিবেশ
নিয়ে দিয়া মির্জার সচেতনতা সর্বজনবিদিত। আগামী ৯ ডিসেম্বর চল্লিশে পা দিতে চলেছেন বলিউডের এ
প্রিয়মুখ। নিজের ৪০ বছরের জন্মদিনে তিনি চল্লিশ লাখ টাকা দান করার কথা ঘোষণা করেছেন।
ফরেস্ট ওয়ারিয়র অর্থাৎ বনরক্ষকদের মধ্যে যারা অতিমারিতে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের
সাহায্যার্থে ব্যয় করা হবে সেই টাকা।
একটি
ফান্ডরেজিং প্ল্যাটফর্মের কথা উল্লেখ করে ভক্তদের কাছে দিয়ার আবেদন, ‘আমার জন্মদিনে
অনেকেই ফুল, উপহার ইত্যাদি পাঠিয়ে থাকেন। আমার অনুরোধ, সেটার বদলে যদি কিছু অর্থ সাহায্য
করে এই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে পারেন। তার চেয়ে ভালো আর কিছু হবে না।’
আসন্ন জন্মদিনের পর থেকে আগামী চল্লিশ দিন ধরে প্রত্যেক দিন ১ লাখ টাকা করে দিয়া নিজে
দেবেন বনকর্মীদের উদ্দেশ্যে।’
দিয়া
মির্জার বাবা ফ্রাঙ্ক হ্যান্দ্রিজ ছিলেন জার্মান ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। তার মা দীপা
মির্জা বাঙালি। দিয়া মির্জার বয়স যখন ৬ বছর তখন তার বাবা-মা আলাদা হয়ে যান। তার
বাবা মারা যান ৯ বছর বয়সে। এরপর তার মা দক্ষিণ ভারতীয় আহমেদ মির্জাকে বিয়ে করেছিলেন।
তখন থেকে আহমদ মির্জার উপাধি তার নামে যুক্ত হয়েছিল। আহমেদ মির্জা ২০০৩ সালে মারা
যান।
চলতি
বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাসভবনের বাগিচায় প্রেমিক
বৈভব রেখির সঙ্গে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন দিয়া মির্জা। এটি দিয়ার দ্বিতীয় বিয়ে। দিয়ার
স্বামী বৈভব রেখি পেশায় ব্যবসায়ী। তাদের এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দিয়া ও বৈভবের
ঘরে রয়েছে এক ছেলেসন্তান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্তানের হাতের ছবি পোস্ট করে দিয়া
ও তার স্বামী বৈভব রেখি জানিয়েছেন, তাদের সন্তানের নাম রাখা হয়েছে অব্যয়ন আজাদ রেখি।
২০১৪
সালে সাহিল সংঘ নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন দিয়া। তার আগে প্রায়
ছয় বছর চুটিয়ে প্রেম করেছিলেন দুইজন। সব মিলিয়ে দীর্ঘ ১১ বছরের সম্পর্কের যবনিকা হয়েছিল
তাদের। ২০১৯ সালের ১ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়া জানিয়ে দেন দীর্ঘ ১১ বছরের
সম্পর্কের ইতির কথা। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয় উভয়ের সম্মতিতে।
এস/এএমকে/এম. জামান