প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১, ০৩:১৬ এএম
কুড়িগ্রামের
চিলমারী উপজেলায় দুধের শিশুদের কেন্দ্রের বাহিরে রেখে এসএসসি পরীক্ষা
দিয়েছেন মায়েরা। উপজেলার থানাহাট এ ইউ পাইলট
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের
মূল ফটকের বাইরে আত্মীয়স্বজনের কাছে শিশুদের রেখে
পরীক্ষা দেন ওই শিক্ষার্থীরা।
রোববার
(২০ নভেম্বর) সকালে ওই কেন্দ্রে গেলে
দেখা যায়, দেড় মাস
বয়সী শিশু জয়নাল আবেদীন
ফাহিমকে কোলে নিয়ে অপেক্ষারত
এক আত্মীয়। তিনি বলেন, ’ওর
মায়ের নাম ফুলজান। কয়ার
পাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
দুই বছর আগে রাণীগঞ্জ
ইউনিয়নের ফকিরের হাট এলাকায় তার
বিয়ে হয়।’
আল
আমিন নামে আরেক শিশুকে
কোলে নিয়ে অপেক্ষারত তার
নানি বলেন, ‘৭ম শ্রেণি পড়াবস্থায়
তার মেয়ে সুমির বিয়ে
হলেও গত ১৫ দিন
আগে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন।’ চিলমারী ইউনিয়নের
চর শাখাহাতি এলাকায় বাড়ি হলেও থানাহাট
এ ইউ পাইলট বালিকা
উচ্চ বিদ্যালয়ে তার মেয়ে পড়ালেখা
করেছেন বলেও জানান তিনি।
তারা
আরও বলেন, ‘এ কেন্দ্রের ফটকে
তাদের মতো আরও কয়েকজন
রয়েছেন নবজাতক সন্তান নিয়ে। তারা সবাই অপেক্ষা
করছেন সন্তানের মায়ের জন্য।’
শরীফের
হাট এম ইউ উচ্চ
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ বলেন, ’তার
প্রতিষ্ঠানে শিখা আক্তার নামে
এক পরীক্ষার্থী দু’দিন আগে
সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেছেন। মা ও সন্তান
বর্তমানে ভালো আছেন। সন্তানকে
বাড়িতে রেখে মা পরীক্ষা
দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
পরীক্ষাকক্ষের
দায়িত্বরত কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ’করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ
থাকায় অনেক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের
বিয়ে হয়েছে। এদের অনেকের কোলজুড়ে সন্তানও এসেছে। এজন্য অভিভাবক, ইমাম ও কাজীরা
দায়ী বলে জানান তারা।
এ
বিষয়ে চিলমারী উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল হালিম বলেন, ’বৈশ্বিক মহামারির কারণে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ থাকায় অভিভাবকরা
পরিবেশ পরিস্থিতি ও আর্থিক দৈন্যতার
কারণে তাদের মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। আমরা
বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে
সচেতনতামূলক কাজ করছি আগামীতে
যাতে এ ধরনের ঘটনা
না ঘটে।’
ইফাত/ডাকুয়া