প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২১, ১১:০৯ এএম
বিয়ের
আলোচনা ও তারিখ সব ঠিক। বিয়ের কেনাকাটাও শেষ। তাই দাঁতের চিকিৎসা করাতে যান কনে। সেখানে
গিয়েই ধরা পড়ে তার করোনা পজিটিভ।
ওই
খবর প্রকাশ পাওয়ায় ভেঙে যায় তরুণীর বিয়ে। ভারতের পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বড়বেলুন গ্রামে
এ ঘটনা ঘটেছে।
হিন্দুস্তান
টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশাসনের কর্মকর্তারাই ওই বিয়ে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (২১ নভেম্বর) ভাতারের বড়বেলুন গ্রামে ২৬ বছরের ওই তরুণীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের সব আয়োজন করা হয়।
এর
আগে ১৬ নভেম্বর ওই তরুণী দাঁতের স্কেলিং করতে বর্ধমানের ডেন্টার হাসপাতালে যান। সেখানেই
তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর নিয়ম মাফিক সেই রিপোর্ট স্বাস্থ্য
দফতরের অফিসে পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ
খবর পেয়ে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন
ভাতার বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাস ও ব্লক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সংঘমিত্রা ভৌমিক।
বিয়ে
বন্ধের খবর পেয়ে স্বভাবতই ভেঙে পড়েছেন পাত্রীর বাবা। তিনি বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে অনুরোধ
করেছিলাম, যাতে বিয়েটা অন্তত হয়। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। আমার চরম ক্ষতি হয়ে
গেল।’
ওই
তরুণী বলেন, ’বিয়ের কেনাকাটা সব করা হয়ে গেছে। এখন জানি না কী হবে।’
তিনি
আরও বলেন, ’আমার শরীরে কোনো উপসর্গই ছিল না। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর সন্দেহ হলে ফের
করোনা পরীক্ষা করাই। তখন রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট হাতে পাই। তাহলে
কোন রিপোর্ট সঠিক?’
এরপরও
ভাতার বিডিও বলেন, ’বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই
তরুণীকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতোই বিয়ে বন্ধ রাখার
কথা বলা হয়েছে।’
ইফাত/ডাকুয়া