প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২১, ০৪:৫৫ এএম
সৌদি
আরবের বেশ কয়েকটি প্রদেশে
১৪টি ড্রোন নিক্ষেপের দাবি করেছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। শনিবার (২০ নভেম্বর) দেশটির
তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর স্থাপনাসহ
বিভিন্ন শহরে এই ড্রোন
হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি বিদ্রোহীদের।
হামলার
জবাবে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের অন্তত
১৩টি লক্ষ্যবস্তুতে সামরিক অভিযান পরিচালনার দাবি করেছে সৌদি
নেতৃত্বাধীন জোট। একইদিন সৌদির
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সির
এক প্রতিবেদনে এই হামলা-পাল্টা
হামলার খবর দেওয়া হয়েছে।
তবে কোনও হতাহত কিংবা
ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা
নিশ্চিত করেনি কোনো পক্ষই।
ইয়েমেনে
লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট
বলেছে, তারা সৌদি আরবের
দক্ষিণাঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসা
তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে। এছাড়া সৌদি আরব লক্ষ্য
করে ছোড়া অপর একটি
ড্রোন ইয়েমেনের আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। গোষ্ঠীটির
দু’টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র
উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছে এবং তা ইয়েমেনের
ভেতরে পড়েছে।
সৌদির
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল তোম্পানি সৌদি
আরামকো বলেছে, তারা শিগগিরই এ
ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাবে। হুথির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে
বলেছেন, রিয়াদ, জেদ্দা, আভা, জিজান এবং
নাজরান প্রদেশে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো
হয়েছে। জেদ্দায় সৌদি আরামকোর তেল
শোধনাগারও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে বলে
জানিয়েছেন তিনি।
২০১৫
সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের
হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত
ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর
আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে
সৌদি আরবে পালিয়ে যান।
ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে
সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের
বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
অভিযানের
শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক
সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র
হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে
কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয়
আছে। সৌদি আরব ও
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক
সহযোগিতার ওপর ভর করে
দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির
নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল
সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।
ইয়েমেনের
এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ‘ছায়াযুদ্ধ’
হিসেবে দেখা হয়। টানা
গৃহযুদ্ধ ও সংঘাত চলার
ফলে প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এবং এক সময়ের
স্বচ্ছল এই দেশ।
ইফাত