প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২১, ০৩:৫৪ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলের
ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর র্যাগিং করার অভিযোগ উঠেছে তৃতীয়
বর্ষের পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১০টা থেকে ১২টা
পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীকে নাচেতে বাধ্য করা হয়।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানীর কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী।
অভিযুক্তরা হলেন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী নাসরিন জাহান খুশি, জুলি মারমা, রিনাকী চাকমা, জান্নাত নিপু ও পূজা দাস। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অধ্যয়নরত।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘সিনিয়র আপুরা আমাকে দুই ঘণ্টা ধরে নাচতে বাধ্য করে। আমি নাচতে না চাইলেও জোর করে নাচানো হয়। রাত ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত আপুরা আমাকে র্যাগ দেয়।’
লিখিত অভিযোগে আয়শা আক্তার রিজু বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় পাশের রুমের নাসরিন জাহান খুশি, জুলি মারমা ও রিনাকি চাকমা আমার রুমে আসে। তারা তাদের মতো কথা বলছিল। আমিও তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। একপর্যায়ে জুলি মারমাকে মনে জিজ্ঞেস করি ‘আপু আমি ভাত খাই এইটা তোমাদের ভাষায় কিভাবে বলে?’ প্রতিউত্তরে তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘তুই আমাকে জিজ্ঞেস করিস? তোর সাহস তো কম না, তোকে র্যাগ দিতে হবে।’
নাসরিন জাহান খুশিও সরাসরি আমাকে বলছিল, ‘তোকে র্যাগ দিতে হবে।’ এরপর আমি বুঝতে পারি যে তারা আগে থেকেই প্ল্যান করে এসেছিলেন। তারা আমার সহপাঠীকেও নিয়ে আসে। সে রুমে ঢোকার পর রাগান্বিত হয়ে তারা বলেন, ‘রুমে আসার আগে সালাম দিতে হয় জানো না?’
লিখিত অভিযোগে রিজু আরও বলেন, ‘তারা আমাদের বাজে একটা গানে নাচতে বাধ্য করে। কোনো উপায় না পেয়ে তাদের কথা মানতে বাধ্য হই৷রাত ১১টা পর্যন্ত আমদের ওপর নির্যাতন চলে।’
ভুক্তভোগী আয়শা আক্তার রিজু জানান, আমি নিরাপত্তাহীনতায় রুমেও যেতে পারছি না৷ আমার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে তারা দায়ী থাকবে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই৷
অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী নাসির জাহান খুশি,পূজা দাস ও জান্নাত নিপুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘আমরা তিন নম্বর রুমে থাকি আর তারা (রিজুরা) চার নম্বর রুমে থাকে। আমরা প্রায়ই ওদের রুমে যাই,নাচানাচি করি। তারই অংশ হিসেবে কালকে গিয়েছিলাম। রাত দশটা পর্যন্ত নেচেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। এটি হলের অভ্যন্তরীণ বিষয় তাই আমরা অভিযোগপত্র হল প্রভোস্টের কাছে পাঠিয়েছি। প্রভোস্ট বিষয়টি দেখবেন।’
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি।’
জেডআই/এম. জামান