• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও দাম বেড়েছে ডিজেল-কেরোসিনের

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১, ০৫:৩৮ এএম

আবারও দাম বেড়েছে ডিজেল-কেরোসিনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আবারও দাম বেড়েছে ডিজেল-কেরোসিনের। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এসবের দাম বাড়ানো হয়েছে। বুধবার ( অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে এই নতুন দাম। দিন রাতে উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জ্বালানি খনিজ সম্পদ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১০ নভেম্বর জ্বালানি খনিজ সম্পদ বিভাগের জারি করা স্মারকমূলে বিভিন্ন প্রকারের পেট্রোলিয়াম পণ্যের মধ্যে শুধুমাত্র ডিজেল কেরোসিনের মূল্য সংশোধন করা হলো। 

ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে শোধিত এবং সরাসরি আমদানি/ক্রয়কৃত ডিজেল কেরোসিন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন তেল বিপণন কোম্পানিসমূহের কাছে নতুন মূল্যে সরবরাহ করবে। ডিজেলের কর-উত্তর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪ টাকা ৪৪ পয়সা। কেরোসিনের কর-উত্তর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ টাকা ৪৯ পয়সা।

জ্বালানি খনিজ সম্পদ বিভাগের ২২ ডিসেম্বর, ২০০৮ তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন এবং সংক্রান্ত বিভিন্ন সময় জারিকৃত সংশোধনীসহ অন্য সব বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।

বিস্তারিত সমন্বিত মূল্য হার নভেম্বর রাত ১১টার পর অর্থাৎ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। সমন্বিত মূল্য কাঠামো অনুযায়ী ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর খুচরা পর্যায়ে ডিজেল-কেরোসিনের প্রতি লিটারের দাম পড়বে ৮০ টাকা।

দেশে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। এতে লিটার প্রতি ১৩ থেকে ১৪ টাকা লোকসান হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয়কে জানায় বিপিসি।

বিপিসি জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে বিপিসির বিপণন লোকসানের মুখে পড়েছে। প্রতিদিন ডিজেল ফার্নেস তেল বিপণনে ২০ থেকে ২২ কোটি টাকার মতো লোকসান হচ্ছে। তেলের দাম আরও বাড়লে লোকসানটাও বাড়বে।

বিপিসির তথ্য অনুযায়ী, চাহিদা পূরণে প্রতি বছর ৪০ লাখ টন ডিজেল আমদানি করতে হয় বাংলাদেশকে। আকটেন আমদানি করা হয় এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টন।  প্রায় সমান পরিমাণ পেট্রোল উৎপাদন করা হয় দেশীয় উৎস থেকে।

আগে পেট্রোল অকটেন বিপণনে বিপিসির মুনাফা থাকলেও এখন তার বদলে লোকসান হচ্ছে বলে কর্মকর্তাদের ভাষ্য।

সরকার সর্বশেষ ২০১৬ সালে যখন প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা ঠিক করে দিয়েছিল, তখন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৪০ থেকে ৫০ ডলারের আশেপাশে।

 

ইফাত

আর্কাইভ