• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে যেভাবে ধরা পড়লেন ইকবাল

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১, ০৪:০১ এএম

কক্সবাজারে যেভাবে ধরা পড়লেন ইকবাল

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির পাড় এলাকার একটি পূজামণ্ডপে গত ১৩ অক্টোবর পবিত্র কোরআন রাখা হয়। এই ঘটনায় কুমিল্লা নগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ইকবালকে শনাক্ত করে পুলিশ। ফুটেজে দেখা যায়, ইকবাল পাশের দারোগা বাড়ি মাজারের মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে গভীর রাতে মণ্ডপে রাখেন।

 

এরপর তাকে ধরতে চেষ্টা চালাতে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আলোচিত এই ইকবালকে ধরার অভিযানে পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজ ছাত্রলীগের নেতা মেহেদী হাসান মিশু, তার বন্ধু সাজ্জাদুর রহমান অনিক ও সাইফুল ইসলাম সাইফ।

 

মূলত এই তিন বন্ধুর সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

 

ছাত্রলীগের নেতা মেহেদী হাসান মিশু জানান, তিন বন্ধু মিলে মঙ্গলবার কক্সবাজারে বেড়াতে যান। বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে হাঁটতে গিয়ে পরিচয় হয় ইকবালের সঙ্গে। কিছুক্ষণ কথা বলার পর তাদের সন্দেহ হয় এই সেই ইকবাল। কুমিল্লার ঘটনায় যার ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তার পর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘণ্টা তার সঙ্গে সময় ব্যয় করা হয়। গল্প করে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেন মিশুরা।

 

মিশু আরও বলেন, তার কথায় সন্দেহ হলে তার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করি। একপর্যায়ে সে পূজামণ্ডপের পুরো ঘটনা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিশ্চিত হই, এই সেই ইকবাল যাকে পুলিশ খুঁজছে। ইকবালের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা ভাবতে থাকি তাকে কিভাবে পুলিশে দেওয়া যায়। রাত ৯টার দিকে আমরা গোপনে পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করেন। ’

 

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। প্রাথমিক তথ্যে আমরা নিশ্চিত হয়েছি এই ব্যক্তি কুমিল্লার ঘটনায় জড়িত। তারপর আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার ইকবালকে শুক্রবার সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সকাল ৬টা ২০ মিনিটের সময় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে ইকবালকে নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশ।’

 

কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহান সরকার বলেন, ‘আমরা যে ইকবালকে খুঁজছিলাম সে এই ইকবালই। গ্রেফতার এড়াতে সে কক্সবাজার এসেছিল।’ এই পুলিশ কর্মকর্তাই ইকবালকে নেওয়ার জন্য কুমিল্লা থেকে কক্সবাজার আসেন।

 

টিআর/এম. জামান

আর্কাইভ