• ঢাকা শুক্রবার
    ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জিআই স্বীকৃতি পাচ্ছে রাজশাহীর ফজলি আম

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১, ০১:১৪ এএম

জিআই স্বীকৃতি পাচ্ছে রাজশাহীর ফজলি আম

রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি আমের উৎপাদন বাঘা উপজেলায়। রাজশাহীর অন্য এলাকার চেয়ে বেশি সুস্বাদু এখানকার আম। সেই বাঘার ২০০ বছরের ইতিহাস তুলে এনে এবার রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে ফজলি জাতের আম। এটি ‘রাজশাহীর ফজলি আম’ হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে।

 

শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেড মার্ক তাদের ‘দ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশনের’ (জিআই) ১০ নম্বর জার্নালে রাজশাহীর ফজলি আম প্রকাশ করেছে। কোনো পণ্যকে জিআই সনদ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হলে এই জার্নালে প্রকাশ করা হয়। এরপর কারো কোনো আপত্তি আছে কি না তা জানতে প্রায় দুই মাস অপেক্ষা করা হয়। আপত্তি না থাকলে দেওয়া হয় জিআই সনদ।

 

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র ফজলিকে জিআই সনদ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল ২০১৭ সালের ৯ মাচ। গত ৬ অক্টোবর প্রকাশিত ‘দ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিকেশনের’ ১০ নম্বর জার্নালে এই আম স্থান পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) জার্নালটি হাতে পেয়েছেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তারা। শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন।

 

তিনি জানান, রাজশাহীর সব উপজেলায় ভালো আম হয়। কিন্তু সবচেয়ে ভালো আম হয় বাঘা উপজেলায়। প্রায় ২০০ বছর আগে বাঘার ফজলির নাম ছিল ‘বাঘা ফজলি’। এ আম কলকাতায় খুবই সমাদৃত ছিল। বিভিন্ন পুরনো বইপত্রে সে কথা উল্লেখ আছে। সেসব তথ্যপ্রমাণ নিয়েই ফজলিকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল।

 

তিনি আরও জানান, ফজলিকে রাজশাহীর জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে কারও কোনো আপত্তি আছে কি না তা জানার জন্য এখন দুই মাস অপেক্ষা করা হবে। আপত্তি না থাকলে দুই মাস পর দেওয়া হবে সনদ।

 

ড. আলীম উদ্দীন বলেন, “আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে। তাই কারও কোন আপত্তি টিকবে না। আশা করছি, আমরা জিআই সনদ পাব। তখন সারা বিশ্বের মানুষ ফজলিকে চিনবে ‘রাজশাহীর ফজলি আম’ হিসেবে। বাইরের দেশে এ আমের চাহিদা বাড়বে।”

 

ফজলি আম কাঁচা থেকেই মিষ্টি। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আমটি গাছে পাকতে শুরু করে। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত আম সংগ্রহ করা যায়। চ্যাপ্টা-লম্বাটে আমটি আকারে বেশ বড় হয়। প্রতিটি আমের গড় ওজন ৬৫৫ গ্রাম। পাকার পরও আমের আঁশ থাকে সবুজ কিংবা হালকা হলুদ। শাঁস হলুদ।

 

টিআর/এম. জামান

আর্কাইভ