• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের মানুষ ধর্মের নামে আর সন্ত্রাস দেখতে চায় না : জি এম কাদের

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২১, ১০:১৮ পিএম

দেশের মানুষ ধর্মের নামে আর সন্ত্রাস দেখতে চায় না : জি এম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ আর সাম্প্রদায়িক সংঘাত দেখতে চায় না। ধর্মের নামে আর সন্ত্রাস দেখতে চায় না দেশের মানুষ। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এদেশের মানুষের মাঝে হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য রয়েছে। একই চত্বরে মসজিদ ও মন্দির রয়েছে। কখনও নিজ নিজ ধর্ম পালনে সমস্যা হয়নি এ দেশে। কিন্তু গেলো শারদীয় দুর্গা উৎসবে কেনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হলো তা খতিয়ে দেখতে হবে। হাজার বছরের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে ষড়যন্ত্র চলছে। কোনো হিন্দু নিজ উৎসব বিনষ্ট করতে কোরআন অবমাননা করতে পারে না। আবার ন্যূনতম ঈমান আছে এমন কোনো মুসলমান কোরআন অবমাননা করতে পারে না। যে বা যারা করেছে, তা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। দ্রুততার সঙ্গে সারা দেশে কোরআন অবমাননার খবর ছড়িয়ে দিয়ে উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে মহলটি, যেনো সবাই প্রস্তুত ছিল। এতে প্রমাণ হয়, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবেই হয়েছে কোরআন অবমাননার ষড়যন্ত্র।

জি এম কাদের বলেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাদের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। এখন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো নিন্দা জানাচ্ছে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।

জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। যারা সংখ্যালঘুদের শক্র তারা দেশ ও জাতির শক্র। দেশের মানুষ আর সাম্প্রদায়িক সংঘাত দেখতে চায় না। ধর্মের নামে আর সন্ত্রাস দেখতে চায় না দেশের মানুষ। তাই, এখনই সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, কারা ও কেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাচ্ছে তা বের করতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে একজন প্রতিমন্ত্রী কেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মানি না বলে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করে ধর্মপ্রাণ মানুষের অন্তরে আঘাত করেছে তাও খতিয়ে দেখতে হবে।

সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানদের জন্য পৃথক কল্যাণ ট্রাষ্ট গঠন করেছিলেন। শুভ জন্মাষ্টমীতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিলেন। মসজিদ, মন্দিরসহ সকল উপসনালয়ের পানি ও বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করেছিলেন। তিনি সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।

সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী মো: সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, উপদেষ্টা জরিুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান সালমা হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ফখরুল আহসান শাহজাদা, যুগ্ম-সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আকতার হোসেন দেওয়ান, এমএ সোবহান, মো. মাশুকুর রহমান, সম্প্রীতি সমাবেশে সঞ্চালনা করেন- যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে।

জেডআই/এম. জামান

আর্কাইভ