• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাজার দরে ক্রেতার নাজুক অবস্থা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২১, ১০:১৪ পিএম

বাজার দরে ক্রেতার নাজুক অবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে সব ধরনের পণ্যের বাড়তি দরে ক্রেতাদের নাজুক অবস্থা। ফর্দ অনুযায়ী বাজার করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এক মূল্য জেনে বাজারে যাওয়ার পর দিতে হচ্ছে বাড়তি মূল্য। সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে সাতটি পণ্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে।

পণ্যগুলো হচ্ছে- সরু চাল, খোলা সয়াবিন তেল, চিনি, ব্রয়লার মুরগি, দেশি আদা, জিরা ও দারুচিনি। ফলে এসব পণ্য কিনতে আগের তুলনায় ক্রেতার নতুন করে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার পণ্য মূল্য তালিকায় এ সব পণ্যের বাড়তি দর লক্ষ্য করা গেছে। টিসিবি বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সরু চালের দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, প্রতি কেজি দেশি আদা ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, জিরা ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ, দারুচিনি ২ দশমিক ২০ শতাংশ, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ ও সাত দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিনির দাম ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারের খালেক রাইস এজেন্সির মালিক ও খুচরা চাল বিক্রেতা মো. দিদার হোসেন বলেন, সাত দিনের ব্যবধানে নতুন করে সরু চালের দাম বেড়েছে। যেখানে আগে সরু চাল সর্বোচ্চ কেজি ৬৬ টাকায় বিক্রি করেছি, সেখানে কেজি ৬৮ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। হঠাৎ করে মিল পর্যায়ে দাম বাড়ার কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। তবে মাঝারি আকারের চালের দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ৫৬ টাকায় যে চাল বিক্রি করেছি সে চাল এখন বিক্রি করছি ৫৫ টাকায়। একই বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বাজারে এসে দীর্ঘশ্বাস না নেওয়া ছাড়া কোনো গতি নেই। বাজারে সব ধরনের চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। যা কোনোভাবে কাম্য নয়। এখানে কোনো না কোনো কারসাজি আছে। যা তদারকি সংস্থার নজর দিতে হবে।

অন্যদিকে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দাম নতুন করে ১৩৬ টাকা বেঁধে দেওয়া হলেও রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪২ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা সাত দিন আগে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি চিনি ৮২ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়। আগে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি জিরা ২০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি দারুচিরি সাত দিনের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. জাহাঙ্গীর বলেন, তেল ও চিনির দাম প্রতি সপ্তাহে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে চাল। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দামও বেশ বাড়তি। সব মিলে বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

 

শামীম/এম. জামান

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ