• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন মাঝিপাড়ার ক্ষতিগ্রস্তরা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২১, ০৯:৩২ পিএম

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন মাঝিপাড়ার ক্ষতিগ্রস্তরা

হাসান আল সাকিব, রংপুর ব্যুরো

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন পীরগঞ্জের বড় করিমপুর কসবা গ্রামের মাঝিপাড়ার মানুষ। হামলার শিকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ২৪টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার তাদের বাড়িঘর নতুন করে তৈরি ও মেরামত করা শুরু করেছেন।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লিতে ঢুকে দেখা যায়, এক পাশে চলছে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাবার রান্না। অন্য দিকে বাড়ি নির্মাণ এবং পোড়া বাড়িগুলো পরিষ্কারের কাজ। বাড়ি সংস্কারে কাজ করছেন সুবর্ণ চন্দ্র ও তার ছেলে সুদাসন চন্দ্র।

এ সময় সুদাসনের স্ত্রী পুতুল রানী সিটি নিউজ ঢাকাকে  বলেন, ‘ঢাকাত থাকি ছাত্ররা আসি হামাক টিন আর ১০ হাজার ট্যাকা দিছে। সেগ্লা দিয়া নয়া করি ঘর বানাওছি। 

পুতুলের পাশে থাকা তার শাশুড়ি শহিবা রানী জানান, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের তিন বান্ডিল টিন আর ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন। তারা আজ থেকে ঘর তৈরির মিস্ত্রি নিয়োগ দিছেন।


সাম্প্রদায়িক ওই হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত একজন হলেন ননী গোপাল। তিনি বলেন, ‘আমার চারটি আধা পাকা ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় আমাদের পরনের কাপড় ছাড়া ঘরের সব জিনিস পুড়ে যায়। কিচ্ছু বের করতে পারিনি। যখন ওরা (হামলাকারীরা) আমাদের বাড়িতে আগুন লাগায়, তখন আমরা বাড়ির পাশে ধানের জমিতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে লুকিয়ে ছিলাম।

পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও বিরোদা রানী বলেন, ‘কসবা হিন্দুপল্লিতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং হবে। ঘর মেরামতের কাজ চলছে। সেই সঙ্গে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করা হচ্ছে।

ফেসবুকে ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গত রোববার রাতে হিন্দুপল্লী মাঝিপাড়ায় আক্রমণ করা হয়। এ সময় বাড়িঘরে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন হামলাকারীরা। এতে হামলায় ২৪ পরিবারের ৩১টি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর ৫৯টি ঘরে লুটপাটের পর ভাঙচুর করা হয়।

টিআর/এম. জামান

আর্কাইভ