• ঢাকা বুধবার
    ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিএনপি-জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে’

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১, ১১:৪০ পিএম

‘বিএনপি-জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি-জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সোমবার (১৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি মেনে নিতে না পেরে সারা দেশে সিরিজ বৈঠকের নামে সিরিজ সন্ত্রাস করছে। তারা সারা দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগতিতে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ সর্বদিকে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের দরবারে সম্মানিত। দেশের এ উন্নয়ন দেখে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী শঙ্কিত হচ্ছে। তারা কোনোভাবে দেশের অগ্রযাত্রা মেনে নিতে পারছে না। তাই তারা সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চেষ্টা করছে।’

কৃষিবিদ বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত রাতের আঁধারে মন্দিরে গিয়ে পবিত্র কোরআন রেখে আসে। আবার তারাই ভোরে গিয়ে সেটির ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে। তাদের মদদে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের মন্দির, ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল রংপুরে তারাই হামলা চালিয়েছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ব্যর্থ বিএনপি দেশটাকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। এর জন্য সব সময় তারা দেশে ষড়যন্ত্র করে। তারা কখনও দেশের মানুষের কথা ভাবে না, দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা দেশে অগ্নিসন্ত্রাস করে বেড়ায়। তাদের কাছে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে কথা স্মরণ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘সেদিন খুনি মোশতাক-জিয়ারা যে জঘন্যতম কাজ করেছে তা ইতিহাসের পাতায় হয়ে থাকবে। তারা সেদিন ইতিহাসের জঘন্যতম রাজনীতি করেছে। তারা সেদিন জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। শুধু জাতির পিতা হত্যা করে তারা বসে থাকেনি তারা সে দিন শিশু, নারী ও অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যা করেছে। পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই। খুনি মোশতাক-জিয়ারা দেশের ইতিহাসকে সেদিন কলঙ্কিত করেছে।’

আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি বলেন, ‘শহীদ শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ পেত একজন পরিপূর্ণ মানুষ, পরিপূর্ণ নেতা।’

আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা খুনি জিয়া আইনত বৈধতা দিয়েছিল। তারা অসত্য, কাল্পনিক তথ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যাকে রাজনৈতিক বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা জাতির পিতার সন্তানদের নিয়ে কল্পকাহিনি ছড়িয়ে চরিত্র হননের চেষ্টা করেছিল।

বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘আজ বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চেষ্টা করছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। যদি আমাদের দলে কোনো অনুপ্রবেশকারীও থাকে তাদের বহিষ্কার করা হবে, তাদের কঠোর বিচার হবে।’

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, কৃষক লীগ সহ-সভাপতি আকবর আলী চৌধুরী, কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান মোল্লা, গাজী জসিম উদ্দিন, দফতর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহ দপ্তর সম্পাদক শওকত হোসেন সানু প্রমুখ।

জেডআই/এম. জামান

আর্কাইভ