• ঢাকা শুক্রবার
    ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিবাহ-পরবর্তী শান্তির জন্য যা করবেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২১, ০১:৩৫ পিএম

বিবাহ-পরবর্তী শান্তির জন্য যা করবেন

সিটি নিউজ ডেস্ক

মা ও স্ত্রী দুইজনই মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ আপনজন। পৃথিবীর জীবনধারা প্রবাহিত রাখতে এ দুইজনের বিকল্প নেই। একজন আমাদের পৃথিবীর মুখ দেখায়। অন্যজন আমাদের সন্তানকে পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। তাই একজনকে অবহেলা করে অন্যজনকে মাথায় তুলে রাখা কখনই ঠিক না। এ ক্ষেত্রে একজন পুরুষকে অবশ্যই ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে হবে।

তবে মা এবং স্ত্রীর সঙ্গে ব্যালান্স করে চলতে গিয়ে হিমশিম খান বেশির ভাগ পুরুষ। পড়ে যান দোটানায়। তাই মা ও স্ত্রীর সঙ্গে ব্যালান্স করে চলার জন্য রইল  কিছু টিপস-

১. অভিযোগে উৎসাহ দেবেন না : সব সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে মিস কমিউনিকেশন। প্রতিদিন একে অপরের প্রতি ঘৃণা বাড়ানোর পরিবর্তে, তাদের জিজ্ঞাসা করুন বা একে অপরকে তাদের মতামত জানান। একজন হয়তো যা বলতে চেয়েছে তা বুঝিয়ে বলতে পারেনি, তখন অপরজন তাকে ভুল বুঝছেন। তারা একে অপরের সম্পর্কে অভিযোগ দিলে তাতে উৎসাহ না দিয়ে বুঝিয়ে বলুন। তাদের নিজেদের মধ্যে খোলাখুলি কথা বলতে উৎসাহী করুন।

২. রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন : একজন বুদ্ধিমান পুরুষ কখনই মায়ের সামনে স্ত্রীকে কিংবা স্ত্রীর সামনে মাকে আঘাত করে কথা বলেন না। কোনো বিষয় নিয়ে সমস্যা হলে তাদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলুন এবং যথেষ্ট সম্মান দেখান। কোনো ঘটনার পর আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন তার ওপর কিন্তু অনেক কিছু নির্ভর করে।

৩. দুইজনই সঠিক : আপনাকে প্রথমে বুঝতে হবে যে উভয়ের নিজস্ব যুক্তিযুক্ত যুক্তি রয়েছে। তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং বিয়ের পরে আপনাকে বুঝতে হবে যে অগ্রাধিকারগুলো পরিবর্তিত হয়। এটি তাদের ভুল নয়, কারণ একজন জন্মের পর থেকেই আপনার যত্ন নিয়েছেন এবং অপরজন সংসার সুন্দর করতে এবং আপনার ভবিষ্যতের যত্ন নিতে তার নিজের বাড়ি ছেড়ে এসেছেন।

৪. রান্নাঘর দিয়ে শুরু করুন : এটি অনেকের কাছে হাস্যকর শোনায়, কিন্তু সত্যি হলো সবই রান্নাঘর দিয়ে শুরু হয়। নারীরা তার রান্নাঘরের ক্ষেত্রে খুব অধিকার সচেতন। আপনার যদি যৌথ পরিবার হয় তবে এটি একটি বড় সমস্যা হতে পারে। সুতরাং বাড়ির নারী সদস্যদের নিয়ে বসুন এবং এটি কীভাবে পরিচালনা করা যায় সে সম্পর্কে একটি চার্ট তৈরি করুন। যদি দুইজনেই রান্নার দায়িত্ব নিতে সম্মত না হন তবে তা তাদের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। এ ক্ষেত্রে সমাধানের জন্য একজন রাঁধুনী রাখতে পারেন।

৫. দুইজনকেই সময় দিন : ছেলে বা স্বামীর সঙ্গে গল্প করতে না পারলে বা সময় কাটাতে না পারলে তা নারীর ভেতর এক ধরনের হতাশা তৈরি করতে পারে। এটি মাঝে মাঝে ক্ষোভ আকারে বেরিয়ে আসতে পারে। তাই এই দুই গুরুত্বপূর্ণ নারীর জন্য কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন। মাসে অন্তত একবার হলেও তাদের নিয়ে বেড়াতে যান যেখানে যেতে তারা পছন্দ করে। চাইলে আলাদা আলাদাও বেড়িয়ে আনতে পারেন। আপনি যদি স্ত্রীকে শপিং করে দেন, তবে মাকেও শপিংয়ের জন্য বলুন। এভাবে চললে সম্পর্কে ব্যালান্স রেখে চলা খুব বেশি কষ্টকর হবে না।

টিআর/এম. জামান

আর্কাইভ