প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১, ০৯:৩৪ পিএম
হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমে বা রক্ত
জমাট বেঁধে রক্ত চলাচল একেবারে
বন্ধ হয়ে গেলে হৃদপেশির
কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
আর একেই বলে হার্ট
অ্যাটাক। আমেরিকার মতো উন্নত দেশে
প্রতিদিন গড়ে ২৬০০ লোক
মারা যায় হৃদরোগে। আর
হৃদরোগীর সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি। এর
মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি।
বাংলাদেশে হৃদরোগীর সংখ্যা অনেক। দেশের জনগোষ্ঠীর একটি বিরাট অংশ আছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির মধ্যে। জীবন যাপনে সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তনই পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে। হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার জন্য নিচের নিয়মগুলো মেনে চলুন-
১.
রক্তে কোলেস্টেরল কমিয়ে ফেলুন : স্যাচুরেটেড ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার যেমন গরু বা
খাসি বা পাতিহাঁস, শূকরের
মাংস, চিজ, বিভিন্ন ধরনের
কেক, আইসক্রিম, ইয়োগাট, কনডেন্সড মিল্ক ও কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ
খাবার ডিমের কুসুম, বিভিন্ন প্রাণী মস্তিষ্ক ও যকৃত, চর্বিযুক্ত
খাবার পরিহার করুন। এ ছাড়া নিয়মিত
ব্যায়াম করুন। আর তাতেও যদি
রক্তে কোলেস্টেরল না কমে তবে
চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে।
২.
নিয়ন্ত্রণে রাখুন উচ্চ রক্তচাপ : উচ্চ
রক্তচাপের কারণে বেড়ে যায় হার্ট
অ্যাটাকের ঝুঁকি। আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
রাখুন। এ জন্য অতিরিক্ত
লবণ পরিহার করুন, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন ও চিকিৎসকের
পরামর্শ মেনে নিয়মিত ওষুধ
সেবন করুন।
৩.
কমিয়ে ফেলুন অতিরিক্ত ওজন : নিজের ওজনকে কিলোগ্রামে ও উচ্চতাকে মিটারে
বের করুন। এবার ওজনকে উচ্চতার
বর্গ দিয়ে ভাগ করুন।
যদি ভাগফল ১৮.৫ থেকে
২৪.৯-এর মধ্যে
হয় তাহলে আপনি একজন স্বাভাবিক
ওজনের ব্যক্তি। আর যদি এর
বেশি হয় তাহলে দেরি
না করে কমিয়ে ফেলুন
অতিরিক্ত ওজন। না হলে
আপনার বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।
৪.
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন : ডায়াবেটিসের কারণে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমে যায়। ফলে
রক্তনালী সরু হয়ে রক্ত
চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। বেড়ে যায়
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিক
রোগীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অ-ডায়াবেটিকদের চেয়ে
২ থেকে ৪ গুণ
বেশি।
৫. ব্যায়াম করুন : গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ৫ বা তারও বেশি দিন ব্যায়াম করে তাদের রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
৬.
ভিটামিন-ই ও সি
খান : হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য ভিটামিন-ই
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন-ই ও সি
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এরা
রক্তের কোলেস্টেরলকে জারিত করে রক্তনালীতে চর্বি
জমে রক্তনালী বন্ধ করতে বাধা
দেয়। তাই নিয়মিত ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার
যেমন জলপাই তেল, বাদাম ও
বাদাম তেল ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার
বেশি করে খান।
তারিক/এম. জামান