• ঢাকা শুক্রবার
    ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যশোর শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতি তদন্তে দুদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২১, ০৮:০৭ পিএম

যশোর শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতি তদন্তে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যশোর শিক্ষা বোর্ডের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের করেছেন বোর্ডের সচিব এএমএইচ আলী আর রেজা। রোববার (১০ অক্টোবর) সকালে দুদক যশোর কার্যালয়ে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ দাখিল করেন। পরে বেলা ১২টার দিকে দুদক কর্মকর্তারা বোর্ডে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন।

ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন বোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম। বোর্ড চেয়ারম্যানের দাবি, ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা টাকা ফেরত দিতে যোগাযোগ করছে।

চলতি অর্থবছরে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সরকারি কোষাগারে জমার জন্য আয়কর ও ভ্যাট বাবদ ১০ হাজার ৩৬ টাকার ৯টি চেক ইস্যু করে। এই ৯টি চেক জালিয়াতি করে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের নামে ১ কোটি ৮৯ লাখ ১২ হাজার ১০ টাকা এবং শাহীলাল স্টোরের নামে ৬১ লাখ ৩২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। সরকারি ছুটি থাকায় ঘটনা প্রকাশ্যে আসার দুইদিন পর রোববার বোর্ডের সচিব এএমএইচ আলী আর রেজা দুদক কার্যালয়ে গিয়ে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর বেলা ১২টার দিকে দুদক কর্মকর্তারা বোর্ডে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। দুদক কর্মকর্তারা সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর পালিয়ে যান হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম। রোববারও তিনি অফিসে আসেননি। বোর্ডে গিয়ে তার কক্ষটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

যশোর শিক্ষা বোর্ড এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুল বলেন, হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম এর আগেও অনেক দুর্নীতির করেছেন। ১২ লাখ টাকার একটি দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। সেই সময় তদবির করে তিনি সেখান থেকে রক্ষা পান। এরপর আড়াই কোটির টাকা দুর্নীতির সঙ্গেও তিনি জড়িত হয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আব্দুস সালাম দুর্নীতির মাধ্যমে উপশহরে দুটি আলীশান বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি এলাকায় ১০ বিঘা জমি, যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি বেসরকারি ক্লিনিকের মালিকানা রয়েছে তার।

যশোর শিক্ষাবোর্ডের একটি সূত্র জানায়, অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু। বাবু এখন টাকা ফেরত দিতে চাচ্ছে বলে বোর্ড চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন বৃহস্পতিবার দফতরে সাংবাদিকদের জানান। অপরদিকে, শাহীলাল স্টোরের মালিক আশরাফুল ইসলাম বোর্ড কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন- তার কাছে থাকা লক্ষাধিক টাকা ফেরত দিতে চাইছেন।

বোর্ডের সচিব এএমএইচ আলী আর রেজা বলেন, মাঝে দুইদিন সরকারি ছুটি থাকায় আজ (১০ অক্টোবর) আমরা দুদকে একটি অভিযোগ দিয়েছি। দুদক কর্মকর্তারা সেটি গ্রহণ করেছেন।

জানতে চাইলে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন বলেন, ঘটনা জানাজানির পর থেকেই হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম অফিসে অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনি বলেন, অভিযুক্তরা টাকা ফেরত দিতে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া। টাকা ফেরত দিলেও যা হবে তা আদালতের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হবে।

জেডআই/ডাকুয়া

আর্কাইভ