• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাসাবাড়ির সুরক্ষায় আসছে রোবট অ্যাস্ট্রো!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১, ০৬:১৯ পিএম

বাসাবাড়ির সুরক্ষায় আসছে রোবট অ্যাস্ট্রো!

সিটি নিউজ ডেস্ক

প্রবীণদের নিঃসঙ্গতা দূর করা এবং বাসাবাড়ির সুরক্ষায় আসছে রোবট। ঘরে না থাকলেও দূর থেকে রোবটটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। সেটা হোক বাড়ির নিরাপত্তা, স্বজন কিংবা পোষা প্রাণীর দেখভালের জন্য।

বিশ্বের ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন এবার বাসাবাড়ির সুরক্ষায় অ্যাস্ট্রোনামের একটি রোবট এনেছে। নতুন এই রোবটটি অ্যালেক্স স্মার্টহোম প্রযুক্তির দ্বারা পরিচালিত হবে। খবর বিবিসির।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) অ্যামাজনের বার্ষিক হার্ডওয়্যার ইভেন্ট-২০২১ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রতিষ্ঠানটি বেশ কয়েকটি নতুন ডিভাইস প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় ছিল ইকো শো ফ্যামিলির নতুন এডিশন, ফ্লাইং সিকিউরিটি ক্যামেরা, হোম রোবটসহ আরও অনেক কিছু।

অ্যামাজন জানায়, বাসায় না থেকেও দূর থেকে রিমোটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে অ্যাস্ট্রোকে। এই রোবটটি মূলত বাড়ির মানুষ এবং পোষা প্রাণীদের দেখা ও নিরাপত্তার কাজ করবে। এটি নিজ থেকেই পুরো বাড়িতে ঘুরবে এবং পরিদর্শনের সময় যদি অপ্রত্যাশিত কিছু পায় তাহলে রোবটটি তা নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বাড়ির কর্তাকে জানিয়ে দেবে।

অ্যামাজন আরও জানায়, এই রোবটটির মধ্যে এমনভাবে প্রোগ্রাম সেট করা হয়েছে যেন এটি নিজেই কাজ করতে পারে। এটি চাকার মাধ্যমে চলাফেরা করবে। তবে রোবটটি যেসব স্থান পর্যবেক্ষণ করবে তা সেট করে দিতে হবে। তাহলে আর নির্ধারিত সীমানার বাইরে যাবে না। এ ছাড়াও মাইক্রোফোন এবং ক্যামেরা বন্ধ করার জন্য সুইট আছে। যদি এটি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় তাহলে তাৎক্ষণিক এটিকে বন্ধ করে দেয়া যাবে।

রোবটটির দাম ধরা হয়েছে ৯৯৯.৯৯ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৫ হাজার। এই রোবটটি বৃদ্ধদের সহায়তার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চলতি বছরের শেষেই এই রোবটের শিপমেন্ট শুরু হবে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে। প্রাথমিক পর্যায়ে শিপমেন্ট আর যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির পর এই রোবটের দাম বেড়ে হবে ১ হাজার ৪৪৯ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়বে আর এই রোবট স্টক আউট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা। রোবটের বাজারে অনুপ্রবেশ করতে চায় অ্যামাজন।

আগামী ৫ থেকে ১০ বছরে যেন মার্কিন প্রত্যেক পরিবারে একটি করে অ্যামাজনের রোবট থাকে, এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছে অ্যামাজন। ছোট্ট এই রোবটটি যেন প্রতিটা মার্কিন পরিবারের সদস্য হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে রিটেইল জায়ান্টটি। যদিও রোবটের মাথার ওপরের পেরিস্কোপটা বেশ ক্রিপি। মানুষের কাজ করবে, পিপার নামে এমন আরেকটি রোবট তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বাজার ধরতে ব্যর্থ হয়েছিল। তবে এই রোবটের দাম অনেক বেশি হওয়ায় অনেক মার্কিনির ক্রয়ক্ষমতার বাইরেই থাকবে এই রোবট। রোবট তৈরি করা বেশ জটিল।

 কিন্তু রোবটের বাজার যদি একবার ধরা যায়, এই বাজার দখল করা বেশ সহজ বলেই মনে করে অ্যামাজন

জেডআই/এম. জামান

আর্কাইভ