প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১, ০১:২০ পিএম
যোগ্যতার
ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়াটা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে
অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষা দিবস
উপলক্ষে ‘শিক্ষা : ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বাস্তবিক কৌশল’ শীর্ষক এই
সেমিনারের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের দলটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন উপ-কমিটি।
সেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে
তদবিরের মাধ্যমে অধিকাংশ শিক্ষকের নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার
মূল্যায়ন করা হয় না। যা আমাদের জন্য দুঃখজনক।’
ঐতিহাসিক শিক্ষা
দিবস নিয়ে ছাত্র সংগঠনের কোনো কর্মসূচি না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের
বলেছেন, আজকের
দিবসটা ছাত্রসমাজের জন্য অপরিহার্য,
৬২’র শিক্ষা আন্দোলন নিয়ে কয়জনে জানে? তা জানা নেই।
আওয়ামী লীগ
সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী
দিনের রাজনীতি হতে হবে জ্ঞাননির্ভর,
সেজন্য ছাত্র রাজনীতিকে জ্ঞান এবং মূল্যবোধের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত
করতে হবে। পরীক্ষার্থী নয়, চাই
শিক্ষার্থী, জীবিকা
নয়, জীবনের জন্যই
শিক্ষা প্রয়োজন। এ বাস্তবতা শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থী ও নীতিনির্ধারকদের সবার আগে
উপলব্ধি করতে হবে।
আওয়ামী লীগ
সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্রনেতারা
এখন তাদের ক্যাম্পাস, শিক্ষা, শিক্ষার সমস্যা এমনকি কোনো সংগঠন এ
দিবসের তাৎপর্য নিয়ে কোনো সেমিনারও করে না। এ ধারা চলতে থাকলে ছাত্র সংগঠনগুলোর
জৌলুস হারিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে জরুরি হচ্ছে গবেষণানির্ভর
হয়ে শিক্ষার মান বাড়াতে নতুন কলাকৌশলে এগিয়ে যাওয়া। মেধাবীদের মেধার মূল্যায়ন করতে
হবে, কোনো নেতার তদবিরে নয়। শিক্ষার মান যেমন বাড়াতে হবে
তেমনি শিক্ষকতার মানও বাড়াতে হবে।
করোনার এ
অতিমারিতে অনেক ছাত্রছাত্রী ঝরে গেছে, স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে আবারও
শিক্ষাঙ্গনমুখী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী
নির্বাচন নিয়ে ভাবেন না, তিনি
ভাবেন আগামী প্রজন্ম নিয়ে, আর
এটাই হওয়া উচিত। পরবর্তী প্রজন্মের কথা মাথায় আছে বলেই তিনি আজ রাষ্ট্রনায়ক।
আওয়ামী লীগের এ
শীর্ষ নেতা বলেন, এ
মাসের শেষেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে,
হলগুলোতে জীবনযাত্রা কেমন তা দেখতে হবে। হলগুলোতে অছাত্ররা অবস্থান
করে, তাদের লিখিতভাবে
হলে থাকা বন্ধ করতে হবে। এ নিয়ে কে খুশি হলো, কে অখুশি হলো তাতে কিছু যায় আসে না। শিক্ষাকে
গুণগত গভীরতায় আনতে হলে এসব সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতাময় গ্লোবাল ভিলেজে
শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের। মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনা
আর প্রযুক্তি মনস্কতায় গড়ে তুলতে হবে নতুন প্রজন্মকে। দেশের উদ্যমী তরুণদের যোগ্য
করে গড়ে তুলতে হবে সমৃদ্ধ আগামীর জন্য, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার জন্য, শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল
বাংলাদেশের জন্য এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য।
শিক্ষা ও
মানবসম্পদ উন্নয়ন উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে সেমিনারে
আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু
মনি, বঙ্গবন্ধু
ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুনাজ আহমেদ নুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য
অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল,
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক
ডা. রোকেয়া সুলতানা।
অনুষ্ঠান
উপস্থাপনা করেন শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব শামসুন্নাহার
চাঁপা।
জেডআই/ডাকুয়া