• ঢাকা শুক্রবার
    ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্মাণাধীন টয়লেটের নিচ থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১, ১১:৩২ এএম

নির্মাণাধীন টয়লেটের নিচ থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরের শিবচর থেকে অপহরণের দুই দিন পরে নির্মাণাধীন টয়লেটের নিচ থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত ওই শিশুর নাম কুতুবউদ্দিন। এ ঘটনায় ওই শিশুর চাচি নার্গীস আক্তার (৩৫) ও চাচাতো বোন হাফসাকে (১৪) আটক করে শিবচর থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় একটি নির্মাণাধীন টয়লেটের নিচ থেকে মাটিচাপা দেওয়া ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আড়াই বছর বয়সী কুতুবউদ্দিন শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার ঘাটসংলগ্ন বাগিয়া গ্রামের ইসমাইল বেপারীর ছেলে।

পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর আগে নার্গীস আক্তারের স্বামী আবুল হোসেন বেপারী মারা যান। এর কয়েক বছর পর থেকে নার্গীস আক্তার তার মেয়ে হাফসা ও ছেলেকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা গ্রামে থাকেন। গত কয়েকদিন ধরে স্বামীর বাড়ির জমি ভাগাভাগি নিয়ে তার দেবর ও ভাশুরদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

এরই জেরে গত বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নার্গীস আক্তার তার কন্যা হাফসার মাধ্যমে চকোলেট কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বাইরে নিয়ে আসে কুতুবউদ্দিনকে। পরে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে কুতুবউদ্দিনকে নার্গীসের বাবার বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে কুতুবউদ্দিনকে মেরে মাটির নিচে পুঁতে রাখেন তারা।

এ ঘটনায় বুধবার বিকেলেই কুতুবউদ্দিনের বাবা ইসমাইল বেপারী বাদি হয়ে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে নার্গীস আক্তার ও তার কন্যা হাফসাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন শিবচর থানা পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই এলাকা থেকে কুতুবউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত কুতুবউদ্দিনের চাচা মুছা বেপারী বলেন, ‘আমার ভাই আবুল হোসেন মারা যাওয়ার পরে আমরা আমার মরহুম ভাইয়ের বউ, বাচ্চাদের খোঁজ-খবর নিই। টাকা-পয়সাও দিই। কিন্তু আমার ভাবি ও ভাইয়ের মেয়ে আমার ভাতিজাকে খুন করেছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উপযুক্ত বিচার চাই।’

শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ বলেন, ’ঘটনার পরে শিশুটির বাবা আমাদের জানালে আমি শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই। গতকাল বিকেলে আমরা দুজনকে আটক করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শরিয়তপুরের নাওডোবা এলাকার একটি টয়লেটের নিচে পুঁতে রাখা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যপারে থানায় একটি মামলা প্রক্রীয়াধীন।

ইফাত/এএমকে

আর্কাইভ