প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১, ০৪:৫০ পিএম
বাংলাদেশে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
রফতানির প্রস্তাব দিয়েছে নেপাল। বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত
বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির তৃতীয় সভায় দেশটি এই
প্রস্তাব দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভিডিও
কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ সভা অনুষ্ঠিত
হয়।
এ
দিকে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত
দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়
সোমবার। জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বাংলাদেশের পক্ষে
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর
রহমান এবং নেপালের পক্ষে
বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ ও
সেচ সচিব দেবেন্দ্র কার্কি
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। স্টিয়ারিং কমিটির
সভায় নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাবনা এবং ঋতুভেদে চাহিদার
তারতম্যের আলোকে পারস্পরিক বিদ্যুৎ বাণিজ্যের বিষয়ে কথা হয়েছ।
সূত্র
জানায়, নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির
পাশাপাশি ভারতের জিএমআর গ্রুপের নেপালে বাস্তবায়িত ৯০০ মেগাওয়াট আপার
কার্নালী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট
বিদ্যুৎ বাংলাদেশ আমদানির অগ্রগতি নিয়ে সভায় আলোচনা
হয়। এ ছাড়া নেপালে
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা ও বাংলাদেশের
বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে নেপালের
বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগের বিষয়েও আলোচনা হয়।
নেপাল
সরকার সম্ভাব্য পাঁচটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চিহ্নিত করেছে। তবে তার মধ্যে
কোনটিতে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে সে বিষয়ে নেপালের
চলমান সমীক্ষার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া
হবে।
স্টিয়ারিং
কমিটির সভায় নেপালে জলবিদ্যুৎ
কেন্দ্র স্থাপনের বিপুল সম্ভাবনা এবং উভয় দেশের
বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এই সম্ভাবনা কাজে
লাগানোর বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে
ঋতুভেদে বিদ্যুৎ চাহিদার তারতম্যের আলোকে পারস্পরিক বিদ্যুৎ বাণিজ্যের বিষয়টি সভায় গুরুত্ব সহকারে
বিবেচনা করা হয়।
সভায়
জানানো হয়, নেপালে বিদ্যুৎ
কেন্দ্রে অর্থায়ন ও যৌথভাবে প্রকল্প
বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রকল্প চিহ্নিত করা, উভয় দেশের
মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানি-রফতানির পন্থা নির্ধারণ এবং আন্তঃদেশীয় বিদ্যুৎ
সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সম্ভব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের
নিয়ে গঠিত জয়েন্ট টেকনিক্যাল
টিম (জেনারেশন) ও জয়েন্ট টেকনিক্যাল
টিম (ট্রান্সমিশন) কাজ করছে।
তবে
সঞ্চালন লাইনের অংশ, বিশেষ করে
ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে নির্মিত হবে বিধায় বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ত্রিপক্ষীয়
সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি নির্ধারণ হবে বলে সভায়
মত প্রকাশ করা হয়। এ
ছাড়া বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, জিএমআর এবং এনডিভিএন-এর
মধ্যে এ সংক্রান্ত স্বাক্ষরিতব্য
চুক্তিটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে
বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো
হয়।
সভায়
নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময়ে
উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়। জয়েন্ট
ওয়ার্কিং গ্রুপ ও জয়েন্ট স্টিয়ারিং
কমিটির দ্বিতীয় সভা ২০১৯ সালের
জুন মাসে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত
হয়েছিল। কমিটি দুটির চতুর্থ সভা ২০২২ সালের
মার্চ/এপ্রিল নেপালে অনুষ্ঠিত হবে।
টিআর/এম. জামান