• ঢাকা মঙ্গলবার
    ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষকরা জামানতবিহীন ঋণ পাবেন দুই লাখ টাকা পর্যন্ত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১, ০১:৪৪ পিএম

কৃষকরা জামানতবিহীন ঋণ পাবেন দুই লাখ টাকা পর্যন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কৃষকরা এখন থেকে জামানতবিহীন সহজ শর্তে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। গৃহস্থালি পর্যায়ে গাভী পালন, গরু মোটাতাজাকরণ খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

এছাড়া শস্য ও ফসল খাতের আওতাভুক্ত দানা শস্য, অর্থকরী ফসল, শাক-সবজি, কন্দাল ফসল, ফল ও ফুলচাষ, মৎস্যচাষ, পোলট্রি ও প্রাণিসম্পদ খাত, কৃষি ও সেচ যন্ত্রপাতি, বীজ উৎপাদন খাতগুলোতে ঋণ বিতরণ করা যাবে।

করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকের জন্য তিন হাজার কোটি টাকার বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত নীতিমালা দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে বিশেষ প্রণোদনায় পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় কৃষি খাতের জন্য তিন হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব এ তহবিলের মেয়াদ হবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এ স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংক নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষক ও গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করবে।

কৃষি ও পল্লিঋণ নীতিমালার আওতাভুক্ত খাতে বিতরণ করা ঋণের বর্তমান গ্রহীতাদের মধ্য থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও গ্রাহককে বিদ্যমান ঋণ সুবিধার অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ (সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা) এ স্কিমের আওতায় বিতরণ করতে পারবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের অনুকূলে শস্য ও ফসল চাষের জন্য এককভাবে জামানতবিহীন (শুধু ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে) সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা যাবে। গৃহস্থালি পর্যায়ে গাভী পালন, গরু মোটাতাজাকরণ খাতে ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণদানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শস্য ও ফসল ঋণ ব্যতীত অন্যান্য খাতের ঋণে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম জামানত ও সহায়ক জামানত নিতে পারবে। এ স্কিমের ঋণ কোনোভাবেই গ্রাহকের পুরাতন ঋণ সমন্বয়ের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। ঋণখেলাপিরা এ স্কিমের আওতায় ঋণ পাবেন না।

এ স্কিমের আওতায় ব্যাংকগুলো ১ শতাংশ সুদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ নিতে পারবে। কৃষক পর্যায়ে সুদ বা মুনাফার হার হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ (সরল হারে)। এ সুদহার নতুন ও পুরাতন সব গ্রাহকের জন্য প্রযোজ্য হবে। কৃষক পর্যায়ে শস্য ও ফসল খাতে বিতরণ করা ঋণের সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ১২ মাস। এ ছাড়া অন্যান্য খাতে বিতরণ করা ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ন্যূনতম তিন মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাস।

শামীম/ডাকুয়া

আর্কাইভ