প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১, ১০:২৪ পিএম
কিছু পত্রিকা আছে যেদিন বিজ্ঞাপন পায়
সেদিন ছাপে, নাহলে ছাপে না। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্য ও
সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘প্রায় ৪০০
পত্রিকা চরম অনিয়মিত, যারা প্রায় দুবছর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা
অধিদফতরে পত্রিকা জমা দেয়নি। আর অনেকে অল্প কয়েক কপি ছেপে শুধু তথ্য মন্ত্রণালয় আর
কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতরে দেয়। এগুলো ভূতুড়ে পত্রিকা।’
মঙ্গলবার (১৪
সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের
প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ
বলেন, ‘ভূতুড়ে পত্রিকার কী প্রয়োজন সেটিই প্রশ্ন। এগুলো বন্ধের দাবি
সাংবাদিকদেরই। এখানে নিয়োগকৃতদের বেতন দেয়া হয় না। এরা চাঁদাবাজিসহ নানা কিছুতে
লিপ্ত হয়। সেই বদনামটা সাংবাদিক সমাজের ওপর বর্তায়, যা কখনোই সমীচীন
নয়।’
এর মধ্যে
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে প্রকাশিত ৯টি বাংলা ও একটি ইংরেজি দৈনিক
পত্রিকার ঘোষণাপত্র (ডিক্লারেশন) বাতিল করেছে সরকার। ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের
সই করা এক প্রজ্ঞাপনে গত ৮ সেপ্টেম্বর পত্রিকাগুলোর ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয় বলে
মঙ্গলবার এক তথ্য বিবরণীতে জানায় তথ্য অধিদফতর।
ঘোষণাপত্র বাতিল
করা দৈনিক পত্রিকাগুলো হলো গণ আওয়াজ, দৈনিক জনসেবা, ঢাকা
প্রকাশ, জাতির কণ্ঠ, কিষাণ, এই
দেশ এই দিন, পূর্ব আলো, সময়ের পাতা ও
রিপোর্টার এবং দি ফাইনান্সিয়াল ডেইলি।
ভূতুড়ে পত্রিকার
পাশাপাশি ভুঁইফোড় নিউজ পোর্টালও বন্ধের কার্যক্রম চলছে। মঙ্গলবার এক রিটের শুনানি
নিয়ে অনিবন্ধিত সব নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী সাত দিনের
মধ্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন
করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬
আগস্ট অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকদের জন্য ‘নৈতিক নীতিমালা’ প্রণয়নে কেন নির্দেশ
দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল আদালত। সেই সঙ্গে ‘ন্যাশনাল অনলাইন মাস
মিডিয়া পলিসি ২০১৭’ অনুযায়ী দেশে অননুমোদিত এবং অনিবন্ধিত অলাইন পত্রিকাগুলোকে কেন
বন্ধের নির্দেশ দেয়া হবে না জানতে চাওয়া হয়।
সবুজ