প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১, ০৭:১৯ পিএম
সৈয়দপুর-কক্সবাজার-সৈয়দপুর আকাশপথে আগামী অক্টোবর মাস থেকে সরাসরি
চালু হতে যাচ্ছে বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সার্ভিস। এটি চালু হলে
বৃহত্তর রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষজন
পর্যটক শহর কক্সবাজার সরাসরি
বিমানে যাওয়া-আসা করতে পারবেন।
সপ্তাহে তিন দিন চলবে
এই বিমান। যাত্রীর চাপ থাকলে বিমানসংখ্যা
বৃদ্ধি করা হবে।
মঙ্গলবার
(১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নীলফামারীতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক ও প্রশাসন (যুগ্ম
সচিব) জিয়া উদ্দীন আহমেদ
এ তথ্য জানান। তিনি
জানান, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে পর্যটন সমুদ্রসৈকত শহর কক্সবাজার সরাসরি
বিমান পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার আগ্রহ প্রকাশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়েছে।
জেলা
প্রশাসক কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী। এ সময় জেলা
প্রশাসন চত্বরে ফিতা কেটে সৈয়দপুর
বিমানবন্দর থেকে রংপুর ও
দিনাজপুর জেলা শহরে বিমান
যাত্রীদের আনা নেওয়ার শার্টল
সার্ভিসের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
মতবিনিময়
সভায় জানানো হয়, এই শার্টল
সার্ভিসটি সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে রংপুর ও
দিনাজপুরের যাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে শীতাতপ
নিয়ন্ত্রিত (এসি) কোস্টারে সেবা
প্রদান করা হবে। এ
সেবার মাধ্যমে বিমানের যাত্রীরা ঢাকা এসে সৈয়দপুর
বিমানবন্দর থেকে রংপুর ও
দিনাজপুর শহরে যেতে পারবেন।
এছাড়া রংপুর ও দিনাজপুর শহর
থেকে ঢাকার যাত্রীরা বিমানের ফ্লাইট ধরতে ওই বাসে
সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসতে পারবেন।
অনুষ্ঠানের
প্রধান অতিথি বলেন, প্রাথমিকভাবে এই সার্ভিস রংপুর
ও দিনাজপুর জেলা শহর চালু
করা হলেও বিমানের বোর্ড
মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমরা অচিরেই পর্যায়ক্রমে
নীলফামারী,পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলা
হতে এই শার্টল সার্ভিস
চালু করব। পাশাপাশি আগামী
অক্টোবর মাস থেকে সৈয়দপুর-কক্সবাজার-সৈয়দপুর আকাশ পথে বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
এ
সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ট্রান্সপোর্ট বিভাগের জিএম মেজর তাগির,
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুর
রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)
আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর্জা
মুরাদ হাসান বেগ, নীলফামারী জেলার
বিমান বাংলাদেশের জেলা ম্যানেজার হারুন
আর রশীদ, জেলা চেম্বারের সাবেক
দুই সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ সরকার, এসএম সফিকুল আলম
ডাবলু, চেম্বারের পরিচালক ফরহানুল হক, জেলা বাস
মিনিবাস কার ও মাইক্রোবাস
মালিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নের
নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
সবুজ/ডাকুয়া