• ঢাকা শুক্রবার
    ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যশকে নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন স্ত্রী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১, ০২:৩৩ পিএম

যশকে নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন স্ত্রী

বিনোদন ডেস্ক

টলিউডের জনপ্রিয় তারকা নুসরাত জাহান যশ দাশগুপ্ত। দুজনের কেমিস্ট্রির জন্যর বারবার আলোচনায় আসেন তারা। স্বামী নিখিলের কাছ থেকে আলাদা হওয়ার পর নুসরাতকে সঙ্গ দিচ্ছেন যশ। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়ও পার্ক স্ট্রিস্টের রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে দেখা গেছে যশ-নুসরাতকে। এমনকি গত ২৬ আগস্ট  কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পুত্র সন্তান জন্মদানের সময়ও নুসরাতের পাশে ছিলেন যশ। নবজাতককে নিয়ে বাড়িতেও ফিরেছেন যশেরই সঙ্গে।

কিন্তু ছেলের পিতৃপরিচয় নিয়ে ভক্তদের মনে ধোঁয়াশা থেকেই যায়। সরাসরি না বললেও পরোক্ষভাবে নুসরাত বোঝান তার সন্তানের বাবা যশ। যশের নামের সঙ্গে মিল রেখে ছেলের নামও রাখা হয়। তার ছেলের নাম ঈশান।

এদিকে এরই মধ্যে মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের প্রাক্তন স্ত্রী শ্বেতা। আনন্দবাজার পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে যশ এবং নুসরাত জাহানকে নিয়ে তথ্য দিলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি আমার মতো আছি। মুম্বাইয়ে থাকি। সংবাদমাধ্যমে কাজ করি। একটা সময় আমি যশের প্রিয়তমা স্ত্রী ছিলাম। এখন আর নেই, আমাদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। যশ এখন এমনিতেই বিতর্কের মধ্যে আছে। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিয়ে খুব বেশি কিছু বলব না।

শ্বেতা আরও বলেন, যশ আমাকে কোনও দিন কারো সামনে নিতো না। তাই হয়তো। যশের সঙ্গে আমার বিয়ের খবর অনেকেই জানেন না। এবার সবাই জানবেন। মুম্বাইয়ে যশের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল। আমাদের ১০ বছরের ছেলেও আছে।

যশের প্রাক্তন স্ত্রী বলেন, আমি টলিউড ইন্ডাস্ট্রির কেউ নই। আর যশের সঙ্গে আমার তো বিচ্ছেদ হয়েই গিয়েছে। সামনে এসে কী করব বলুন?

আমি নুসরাতকে দেখেছি। কিন্তু চিনি না। তাই কিছু বলতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, যশের মেলামেশা করার একটা পদ্ধতি আছে। সেটা জানি আমি। তবে আমার মনে হয় এবার সময় হয়েছে! ভবিষ্যতে যশ কীভাবে নিজেকে প্রকাশ করবে, তার সিদ্ধান্ত এবার ওর নিয়ে নেওয়া উচিত। যশ আমার ছেলের বাবা। ওর সঙ্গে সেই সূত্র ধরে যেটুকু যোগাযোগ রাখতে হয় রাখি। আমাদের সন্তান পারস্পরিক হেফাজতের অধীনে। ডিভোর্সের সময় আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

শ্বেতা বলেন, অতীত নিয়ে অনেক দিন থেকেই ভাবনাচিন্তা বন্ধ করে দিয়েছি। সমস্যা কখনও শেষ হয় না। নিজের মতো করে, নিজের ইচ্ছায় জীবন কাটাতে পারছি না। তবে সবের মধ্যেও আমার একার জীবন নিয়ে স্বপ্ন দেখি। মনে হয় স্বপ্নে বাঁচি।

টিআর/ডাকুয়া

আর্কাইভ