• ঢাকা বুধবার
    ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়িয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে হবে : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১, ০৬:১৬ পিএম

বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়িয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে হবে : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অর্থমন্ত্রীর মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘পুরো বিশ্ব সম্প্রদায় এখন একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯এর প্রভাবে সারা বিশ্বের অর্থনীতি আজ হুমকির সম্মুখীন। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়। এমন একটি মুহূর্তে বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বিনোয়োগ বৃদ্ধি করে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের উপায় বা পথ খুঁজে বের করতে হবে।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ‘কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১-এর ভার্চুয়াল সভায় অংশগ্রহণ করে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই অবগত যে কোভিড-১৯ মহামারিজনিত কারণে গত বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। যেখানে কমনওয়েলথভুক্ত অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। যা বৈশ্বিক বাণিজ্য বিনিয়োগ হ্রাসের অন্যতম প্রধান নিয়ামক। ইউএনসিটিএডি একটি প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়েছে, ২০২০ সালে গ্লোবাল ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট হ্রাস পেয়েছে ৪২ শতাংশ। আর এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কমনওয়েলথ অর্থনীতি ৫০ শতাংশের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পটভূমিতে, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ উভয় ক্ষেত্রেই একটি শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজে বের করাই আমাদের আজকের সভার উদ্দেশ্য বলে আমি মনে করি।

মুস্তফা কামাল আরও বলেন, ‘২০২০ সালের আইএমএফের অক্টোবরের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্ব অর্থনীতিতে গড় . শতাংশের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। সে সময়ে অতি অল্প কয়েকটি ইতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী, মহামারি প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব অর্থনীতিতে কমনওয়েলথ দেশগুলোর ভূমিকা মাত্র ১৩ শতাংশ, বৈশ্বিক এফডিআইয়ের মাত্র ২০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যের ১৪ শতাংশ।

আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্যে ৫৪টি দেশের মোট বাণিজ্যে মাত্র ১৮ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের মোট বাণিজ্যের মাত্র . শতাংশ রয়েছে সমস্ত কমনওয়েলথ দেশগুলোর। এই পরিসংখ্যানগুলো ইঙ্গিত দেয়, বাণিজ্য সম্পর্কিত কমনওয়েলথের বিদ্যমান নীতি এবং কৌশলগুলো কমনওয়েলথ দেশগুলোর জন্য সন্তোষজনক নয়।

এরপরও আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের উপায় বের করে আমরা কমনওয়েলথের গৌরবময় অতীত ফিরিয়ে আনতে পারব।

টিআর/এম. জামান

আর্কাইভ