প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম
আচ্ছা খাবি। শোন দরজার বেল বাজছে, তোকে পরে ফোন করছি।
দরজা খুলতেই অপূর্ব আর অনি ঢোকে।
কি গো চলে আসলে। হয়ে গেল সব অনুষ্ঠান।
ভালো লাগছিলো না মৌ। কতগুলো বছর কাটিয়েছি ঐ অফিসে।
তোমরা যাও আগে স্নান করে আসো। আমি খাবার রেডি করি, খেতে খেতে সব শুনবো।
তিনজনে মিলে খেতে খেতে মৌসুমী সব শোনে।
অনি বলে, বাবাকে সবাই খুব ভালোবাসে জানো মা?
বাসবে না? সততার সাথে এত্তগুলো বছর কাজ করলো।
হুম, অনেক গিফট দিয়েছে। আর অ্যাকাউটেন্ট বোস কাকু তো বললেন, বড়বাবু বলেই দিয়েছেন টাকা পয়সার ঝামেলা যেন মাস খানেকের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হয়। কোনো সমস্যা হবে না বুঝলে।
না হলেই ভালো জয় মা দুগ্গা।
অপূর্ব বলে, আজ শুধু আমি অসবর নিলাম না, আজ থেকে কিন্তু তোমারও অবসর।
আমার?
হুম।
কি যে বলো, কাজ কে করবে, ঐ একা জবার মা?
না না লোক রাখতে হবে।
আবার লোক? তুমি ভুলে গেলা, পরের মাস থেকে মাইনে হাফ। আবার লোক রাখছে। কোনো লোক দরকার নেই।
তোমাকে বলেছি লোক রাখবো।
তো?
আজ থেকে আমি তোমার হেল্পার। তোমাকে সাহায্য করাই আমার কাজ। আমি বাগান পরিষ্কার করবো, বাথরুম আর ঘরের সাফাই করবো। আজ থেকে ফুল তোলা আর সকালের চা আমার কাজ।
থাক, বুড়ো বয়সে আর হাত পা ভাঙতে হবে না।
না মৌ, পুরুষের অবসর হয় তো তোমার নয় কেন? কাজের লোক বাড়িয়ে দিতে না পারি, নিজে তো করতে পারি।
অনি বলে, সঠিক কথা। মা, বাবা যদি বসে থাকে তো মোটা হয়ে যাবে। কাল থেকে দু’জনেই হাঁটতে যাও।
হ্যাঁ, আমি বেরিয়ে যাবো তো তোর অফিস?
শোন মৌ, কোনো কিছু থেমে থাকে না, যতদিন না ঘরের বৌ আসছে ততদিন দু‘জনে ঠিক ম্যানেজ করে নেবো। আর ঘরের বৌ আসলেই আমরা হানিমুনে বেরিয়ে যাবো... হা হা হা
অনি মাকে অপ্রস্তুত দেখে মিটি মিটি হাসতে থাকে আর ভাবে জীবন সব সময় সুন্দর, শুধু স্বল্পতায় তাকে সুন্দর করে কাটানোর মানসিকতাটা দরকার।