প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২২, ১০:৫৫ পিএম
কুড়োই না ঝরা বকুল এখন
শিউলি তলায় যাইনে কখনো আর
আনে না তৃষ্ণার জল শিশিরে ভেজা ভোর আমার
জেগে উঠে ডুবো চর
মিঠে-ক্লিশে সেই গন্ধ বড্ড বেশি ক্লান্ত করে তোলে
আজকাল অবিরল
বাতাস দূর দেশে বয়ে নিয়ে যাক তারে।
বাতাস সোহাগি ক্ষণিকের
লক্ষ্মী পয়মন্ত যে কোনো অচলা গৃহস্থী নারী
অনুপম সেই রুপে আমি দেখি
চমৎকার নির্বিকার নিস্পন্দ হাসি
ঝুলে থাকা পৃথিবীর বর্ষায় চুবানো জোলা
কোনো এক ড্যাব-ডেবে চাঁদ
চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়া রুপ আর সুধার মদিরা।
অথবা রুপের পসরা নিয়ে গিয়েছে চলে পৃথিবীর
প্রয়াত কবিদের হাত ধরে যে নারীরা
তাহাদের কথা ভেবে ভেবে
সেই রুপ আর সুধার মদিরা গায়ে মেখে
গ্লাসে গ্লাসে পান করে
আজও মাটির পৃথিবীর কবিরা
জলের সারল্য নিয়ে করুক কাব্যচারিতা।
প্রয়োজন যদি কিছু থাকে
অথবা অপ্রয়োজনে তারা
করুক সুবিধা মতো খেলা আর অবহেলা
আমি শুধু ভাবি সময়ের হড়কাবান
এসেছে কখন সময়ে সময়ে ভেঙে গেছে পাড়
মিশেছে যেভাবে সময়ের ঢেউয়ে কূল ভাঙা হাহাকার
তাই নিয়ে যাও লক্ষ্মীকে দিলাম তোমাদের পুনর্বার
রাখিবে কী সোনার কৌটায় ঢেকে অথবা রুপার!
চাই বাসনার ঝাঁজে আমার চৈত্রের চাঁদ
আর ঝাঁঝালো বাতাসে কার্তিকে রহস্যাবৃত কোনো রাত
ছাতিম ফুলের গন্ধে ভারি শয্যা পেতে
মাদকতা বিলানো শরীরে ঢল ঢল অবিরল
কালীর অদ্ভুত রুপ সাদা ছাতিম গাছের তল
রণচণ্ডী সাজে আসিবে সে
কালের সমান্তরাল
জেনেছিল মাদকতা সুখ ধুতুরার ফুল একদিন
গন্ধমাখা নির্যাসে তাহার
ধুতুরার মালা পরে দেব সেই
ধুতুরার ফুল উপহার।
কুয়াশা চাদরে ঢেকে খেলিতে প্রেমের খেলা
সারা রাত্রিবেলা
সৃষ্টির লীলায় এসো নবরুপে তুমি এলোকেশী
ছাতিমের তলায় আবার
রহস্য সাথে যেখানে মিশে রয়
শ্যাম-ছায়া ঘনকালো এক
অপরুপ অন্ধকার।