প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২, ০৬:৩১ পিএম
মনে হচ্ছে শতাব্দীর সবচেয়ে অন্ধকার রাত আজ,
তবে কি কেউ এগিয়ে আসছে আমার জীবনে পরাতে মৃত্যুর তাজ!
অনেক তো ঘুম হলো, আজকাল রাত কাটে নির্ঘুম,
মন করে উচাটন, শুনতে পাই ঘুঙুরের ঝুম ঝুম।
কেউ যেন ডাকে আমাকে তার শরীরের ঘ্রাণ নিতে,
ঘুঙুরের শব্দ যেন নিষেধ করে সেখানে যেতে।
জীবনে কত পা ফেলেছি গুনে তো কেউ রাখে না,
সব পা ঠিক ফেলেছি সে কথা বলতেও পারি না ।
পা এর ওঠা আর নামা ঠিক যেন ঢেউ এর মতো,
ছন্দের পতনেই জীবনে দুঃখ কষ্ট যত।
লোভ আর লালসার অঙ্ক বড় পিচ্ছিল,
সে ফাঁদে জীবন হয় শিথিল।
সমাজের আনাচে কানাচে নানা অসুখ,
জ্যোৎস্নার রূপালি আলো আমাকে দেয় সুখ।
কলম আঁকড়ে ধরি জ্যোৎস্না রাতে যেই,
বলাকার মতো কোমল শরীর জড়িয়ে ফেলায়, হারিয়ে ফেলি খেই।
বলি আমি ছাড়া আমাকে, বৃদ্ধ আমি,
সে কণ্ঠ জড়িয়ে বলে,
তুমি প্রেম নিয়ে লিখে যাও, আমি তোমার লেখার প্রেমী।
হাত কাঁপে, কাঁপে আমার মন,
তার প্রেমে কাঁপে জ্যোৎস্না, বাতাসে আওয়াজ সন সন।
নদীর প্রেমে হয়েছি পাগল,
সাগরের প্রেমে দেখেছি আঁখি দীঘল।
পাহাড়ের প্রেম আমাকে মুগ্ধ করেছে,
আমার প্রেম মরুতেও জলের খোঁজ পেয়েছে।
নির্ঘুম রাতে ঘুঙুরের প্রেম আমাকে জাগিয়ে রাখে,
প্রেম শাশ্বত সুন্দর, প্রেম যেন কেউ না করে সখে।