প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২২, ০৮:৫৯ পিএম
শ্রীচরণেষু মা,
ধরেছি কলম ফেলে সুরাপানি
আজি এ গহীন প্রাতে,
আঁচল তোমার লুটেছে ধূলায়
প্রতিদিনে, প্রতিরাতে।
সুরা আর নারী বেঁধেছিনু বুকে
বিকৃত কাম লালসা,
অবাধ্য রগচটা যৌবন
মেটাতে কামনা-পিপাসা
মাতৃসত্ত্বা রক্তাক্ত যে
হয়েছে প্রতিটি পলে,
পেনশন তুলে পেতে সম্বল,
আমি তা দিতাম জলে।
করিনি পরোয়া, মনুষ্যত্ব
হয়েছে তো নত লজ্জায়,
চৌর্যবৃত্তি, মদের নেশা,
দিয়েছি বিকিয়ে মজ্জায়।
বেশ্যাপল্লী ছিল ঘরবাড়ি
প্রতিরাতে হয়ে চূর,
পোশাকের ন্যায়ে ছুঁড়েছি যে নারী
বিবেকে চালিয়ে ক্ষুর।
সেইরূপই এক দামাল নিশিতে
উঠেছিল জেগে সুধা,
পেটে ছিল তার তীব্র আগুন
শুধু "ডাল-ভাত" ক্ষুধা...
বরষে তনু তে বিদ্যুৎ-বারি
এসে কালবৈশাখী,
স্তব্ধ হলাম, শান্ত যে হলো
কাম, শান্ত যে আঁখি।
দুই হাতে তার ভরে দিয়ে টাকা
আমি যে যাই হারিয়ে,
যৌনতা-কাম মাখামাখি দেহে
ফুলের সুবাস ছড়িয়ে
দু’চোখে যে তার ঝরেছে আগুন
ঝরেছে যে মাতৃত্ব,
হৃদের মাঝেতে বাজে কিঙ্কিনী
হয়েছি যে আমি মত্ত...
জানে না পৃথিবী, জানে না জগৎ
পুড়েছি আমি অনলে,
সুরা-ক্রোধ-লোভও এসে একে একে
জ্বলে গেছে দাবানলে...
পড়ে আছে আজ শুধুই ভস্ম
নিয়েছি কুড়িয়ে তারে,
নিয়েছি সাজিয়ে সূর্যের তেজে
পুড়িয়েছি আপনারে...
নিয়ে সন্ন্যাস, আজি আমি
খুঁজে ফিরি মুক্তির পথ,
অপদার্থ এ কুপুত্র আজি
করছে যে এ শপথ।
আর কভু তুমি দেখবে না এই
পাপমুখ আজ আসি...
পরের জন্মে আসবোই মাগো
হলাম আজি পরবাসী...