• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

স্বর্গীয় অতিথি লগ্ন

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২২, ০৪:১৫ এএম

স্বর্গীয় অতিথি লগ্ন

সৈয়দ আতিক, ঢাকা

একজন স্বর্গীয় অতিথি আসবেন
পুলসিরাতের পথ হয়ে
কত সাজসজ্জা ফুলেল
চারদিকে হুর গেলমানদের 
কত আয়োজন
পরনে স্বর্গীয় পোশাক
মিহি সবুজ ও রেশমি
তার ডাগর চোখে তাকানো দুষ্কর
দুনিয়ার চোখের শ্যাওলা রেটিনাগুলো
পুলসিরাত পার হবার আগেই 
উড়ে গেছে যেন কোথায়!

একটু পরেই তিনি রাইয়ান হয়ে
আসবেন কাওছারের ধারে ধারে
চির সুখের মধুময় স্বর্গের নগরীতে
হাজার বছরের বিশাল পথকে
মসৃণ করে অতিথি হয়ে আসলেন,
প্রিয় অতিথির জন্য হুর-গেলমানদের সুবাসিত ফুলের বরণে 
যে আয়োজন, যে উচ্ছ্বাস,
কী যে চমৎকার দৃশ্য-
এমন দৃশ্য কী পৃথিবী কখনো দেখেছিল?
এমন দৃশ্য কী পৃথিবী কখনো ভেবেছিল?

প্রিয়জন আসার কত আগ থেকেই রাইয়ানের জমকালো 
দুয়ারে দাঁড়িয়ে থাকার দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো আমার-
খানিক আগেই আমি তাকে চেয়ে নিয়েছি 

এ বিশাল পরকালের মালিকের কাছে
কী আশ্চর্য তাকে চাইতেই বেশি সময় লেগেছিল, 
কিন্তু তিনি এলেন কত দ্রুত বেগে প্রতিপালকের ইশারায়...
পরকালের শহরের হাজার বছরের 
দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ক্ষণিকেই।  

আহা! কী সুন্দর স্বর্গীয় পোশাক
কত সুসজ্জিত আসন কতইনা সুন্দর
স্বর্গের ভেতরটা- 
প্রিয় অতিথি জিজ্ঞেস করলেন ,
এখানে আমরা কতদিন থাকবো?
কোনো অসুখ-বিসুখ হবে না? 
বললাম-সুন্দর জাফরানি সুঘ্রাণ
ইয়াকুত মোতির মিশেলে তৈরি 

এই শহরে অনন্তকাল থাকবো আমরা
জোড়া অতিথি হয়ে… 
আমাদের যৌবন শীর্ণ হবে না 
আর মৃত হবে না-
হবে না অসুখ-বিসুখও

পাশেই শত শত কুমার কুমারী 
কত যে জান্নাতি নেয়ামত…
প্রিয়জনকে বললাম
আগের কালের কিছু কথা
স্রষ্টার প্রতিশ্রুতির কথা

তারপর প্রিয় অতিথিকে
নিয়ে চলে গেলাম
স্বর্ণ-রৌপ্যে নির্মিত জান্নাতি দেয়াল ঘেঁষে দূরে-বহুদূরে 
কাওছারের ধারে ধারে,
স্বচ্ছ মধুর নহরের পাশ দিয়ে-
ফুল ও ফলের নির্যাস নিতে
মনে পড়ে গেল- সুরা আর রাহমানের কথা,
সেখানে থাকবে ফুল কাদি কাদি কলা 

রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানা
আহা! এটাই সেই কাঙ্ক্ষিত স্বর্গের শহর।
 

আর্কাইভ