প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ১০:৩৪ পিএম
বিদ্রোহী কবি
মালবিকা পাণ্ডা
কলকাতা, ভারত থেকে
দুখু মিঞা,
তুমি সাহিত্যিক, তুমি কবি, তুমি সঙ্গীতজ্ঞ, তুমি সাংবাদিক, তুমি সৈনিক।
তুমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা এক `ধূমকেতু` অগ্নিবীণাকে- হস্তে ধারণ করা এক বিদ্রোহী...
সর্বশক্তিমান বৃটিশ রাজের বিরুদ্ধে তুমিই
প্রথম বাজিয়েছিলে -বিষের বাঁশি।
তোমার `ধূমকেতু` যখন অত্যাচারিত সমাজের বুকে আছড়ে পড়ল...
তখন, অত্যাচারিত শাসক তোমায় করল
কারাবন্দী!
নিষিদ্ধ করল তোমার সৃষ্টি
মন...ভাঙ্গার গান` উচ্চ কণ্ঠে তখনও
গেয়েছিলে...
তোমার গুণের কদর করে `বিশ্ব কবি --
`বসন্ত` কে
উৎসর্গ করলেন তোমায় ...
মনে পড়ে তোমার দুখু মিঞা?
সেই সব দিনের কথা ...
তোমার গুলবাগিচায় এখনও বুলবুল
শিস দিয়ে তোমাকে তার মনের কথা জানায় ...
তোমার দোলনচাঁপা কি ”ফনিমনশা“র
কাটায় ক্ষত বিক্ষত!
না কি, ”পূবালী হাওয়ায় এখনও মাথা নেড়ে
সাম্যবাদের” গান শোনায় ...
তুমি তো সেই আমাদের দুখু মিঞা!
যে প্রলয় শিখার আগুনে কারার লৌহ
কপাটকে উত্তপ্ত করে ফেলেছো ভেঙে...
তোমার সেই - বাঁধন হারা, নব যৌবনবতী--ঝিলিমিলি
সে কি তোমার কাছে শুধুই আলেয়া...
না কি, কুহেলিকা?
তোমার বাগানের- শিউলি মালা দিয়ে পুতুলের বিয়ে তুমি নিশ্চয়ই বিস্মৃত হওনি আজও?
ঝিঙে ফুল, রাঙা জবা লাল হলুদের...
সংমিশ্রণে এখনও কি তোমার মনে হিল্লোল তোলে ...
বয়স নামে এক ঝড় আমাদের “সর্বহারা”
করে দিলো ...
মৃত্যুক্ষুধা` কে তুমি আপন করে নিলে দুখু মিঞা!
তোমার, দুর্দিনের যাত্রী `আমরা, সর্বহারা`রা
ছিলাম, আছি, থাকবো কিন্তু তোমার... ব্যথার দান, আমরা কেউ কি
নিতে পেরেছি কখনও...