• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

রুদ্রভৈরব

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২২, ০৮:৪৪ পিএম

রুদ্রভৈরব

নীতা কবি মুখার্জী

এসেছে গ্ৰীষ্মকাল!
নিষ্ঠুর নিদাঘের দামামা বেজেছে
এলো বুঝি মহাকাল!

গরম! গরম! দারুণ গরম! ত্রাহি ত্রাহি ওঠে রব
পশুপাখি আর প্রকৃতি জ্বলছে, দাউ দাউ জ্বলছে সব।

চাতক পাখি হাহাকার করে--
বারি দাও, বারি দাও!
হে রুদ্র, তুমি দয়া করো প্রভু, এবার ক্ষান্ত হও।

প্রখর-রৌদ্রে নদী-নালা সব হয়ে গেছে জলহীন
সুন্দর এই শ‍্যামল ধরণী দেখি জৌলুসহীন।

গরমের ছুটি স্কুল-কলেজের ঘরে আরামের ঘুম
গরমের চোটে নাভিশ্বাস ওঠে এসি চালাবার ধুম

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডসেডিং
কি করি হায়! কোথায় যে যাই-
 নাচছে তিড়িং-বিড়িং।

রাতে দিনে গরম সমান তালে কোথাও নাই যে স্বস্তি
পাড়ার ছেলেরা পুকুরের ঘাটে করে সাঁতারের মস্তি

পিচ-ঢালা পথ, পা পুড়ে যায়, যেতে হবে বহুদূর
কুলি-মজুরেরা খেটে খেটে মরে, মনে বেদনার সুর।

গরম, গরম, দারুণ গরম, জ্বলে পুড়ে সব ছাই
ঘন কালো মেঘ বাঁচাবে যে এসে, তার যে গো দেখা নাই

সে যে আসছে মদ-মন্থরে, তার কিবা আছে দায়?
ধ‍রণী পুড়ছে পুড়ুক, তাতে তার কিবা আসে যায়?

জৈষ্ঠ্য মাসের এতো বড়ো বেলা, বেলা যে গো আর কাটে না
ঝরা-পাতারা উড়ে উড়ে যায়, মন যেন ঘরে থাকে না
সুদূর আকাশে মেঘ ভেসে যায় দূর হতে বহুদূরে
এই ঘাট ছূঁয়ে ওই ঘাটে যায়, মিলে যায় সাত-সুরে

সূয্যি মামার জ্বলন্ত সোনা পৃথিবী দগ্ধ করে
মাটির মানুষ ক্লান্ত, শ্রান্ত, ছায়ার খোঁজে মরে।

দূর দেশ থেকে জামাই আসছে জামাইষষ্ঠী ব্রত
শাশুড়ি-ঠাকরুণ গলদঘর্ম, জোগাড় যে কত শত!

ওগো বর্ষা-সুন্দরী ! তোমার লীলা যে অপার
কৃষ্ণ-মেঘের ভেলা চড়ে এসে ঘুচাও গ্লানি এ ধরার।

আর্কাইভ