প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২২, ০৪:১৭ এএম
লালশাক চাষে লাভবান কৃষক আব্দুর রহমান ভূঞা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তার চাষ করা ১৮০ শতাংশ জমিতে লালশাকের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে চার ভাগের এক ভাগ শাক বিক্রি করে প্রায় ৬০ হাজার টাকা আয় করেছেন। তার সফলতা দেখে আশেপাশের অনেক কৃষক লালশাক চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, কৃষক আব্দুর রহমান ভূঞা ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। এবছর তিনি ১৮০ শতাংশ জমিতে লালশাক চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ইতোমধ্যে তিনি তার চাষকৃত জমির চারভাগের এক ভাগ লালশাক বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা আয় করেছেন। আশা করছেন বাকি জায়গার শাক বিক্রি করে লাভবান হবেন।
কৃষক মো. আব্দুর রহমান ভূঞা বলেন, আমি একজন মাছ চাষি। এই জমিতের আগে মাছের চাষ করতাম। পানির সংকটের কারণে জমিটি শুকিয়ে যায়। তারপর কৃষি বিভাগের পরামর্শ মতে এই ১৮০ শতাংশ জমিতে লালশাক চাষ করি। লালশাক চাষে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।
তিনি আরো বলেন, গত বছর লালশাক চাষ করে ৬০ হাজার টাকা আয় করেছিলাম। এবছর এখন পর্যন্ত জমির চারভাগের এক ভাগ লালশাক বিক্রি করেই ৬০ হাজার টাকা আয় করেছি। আশা করছি আরো লাভবান হতে পারবো।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, দাগনভূঞা উপজেলায় কৃষকরা আগে শুধু ধানের চাষ করতেন। বর্তমানে তারা আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছে। আর লালশাকের চাষ এই উপজেলার কৃষ খাতে নিরব বিপ্লব ঘটিয়েছি। এবছর এই উপজেলায় প্রায় ৮০ হেক্টর জমিতে লালশাকের চাষকরা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামীতে এর চাষের জমির পরিমান বৃদ্ধি পাবে।
পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, এই উপজেলার মাটি সব ধরনের সবজি চাষের উপযোগী। আর লালশাক উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতিতে নিয়ে এসেছে আমূল পরিবর্তন। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহেযোগীতা করে আসছি। আশা করছি আগামীতে লালশাকের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।
আইএ/