প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২, ১১:৫৩ পিএম
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ছেয়ে গেছে মাঠ ভরা সোনালী ধান। সব মাঠেই ধান পেঁকে সোনালী রূপ ধারন নিয়েছে। আবার কৃষকরা ধান কাটতেও শুরু করেছে। উপজেলার সব মাঠেই কম-বেশি ধান কাটা-মড়াই এর ধুম পড়ে গেছে। এবার রোপা আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষক-কৃষানীদের মুখে হাসি ফুটেছে ।
চলতি মৌসুমে আশানুরূপ বৃষ্টিপাত হওয়ায় কয়েক বছরের ব্যবধানে এবার রোপা আমন ধান ভাল হয়েছে। এলাকা ঘুরে দেখা যায় উঁচু নিচু সব জায়গাতেই প্রায় ধান চাষ করা হয়েছে।
এবছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় উপজেলার ৮ ইউনিয়নে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা অনেক ছাড়িয়ে গেছে। এবার কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই মাঠের ধান গোলায় তুলতে পারছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৪ হাজার ৩ শত ২৫ হেক্টর । আর অর্জিত হয়েছে ১৪ হাজার ৩ শত ৫০ হেক্টর। যা এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২৫ হেক্টর জমিতে বেশি রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে।
চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছে ধান কাটা মাড়ার শুরুর মুখেই ধানের বাজার মূল্য বেশি থাকায় এলাকার কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে।
কৃষক রয়েল, সেলিম, রইচ সহ বেশ কিছু কৃষকরা জানান, এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা আরো ৮/১০ দিন আগে থেকে ধান কাঁটা-মাড়াই শুরু করেছি বাজারে ধানের দামও ভালো পেয়েছি। ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসব। তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন পিঠা পুলি ও পায়েশ।
মধ্যবিত্ত কৃষকেরা জানায়, রোপা আমন ধানের উপর নির্ভর করে আলু ও পটল, গম রোপন সহ বিভিন্ন রবিশষ্য চাষাবাদ করার লক্ষ্য রয়েছে। আর এ বছর ধানের বাজার মূল্য পড়ে না গেলে কৃষকদের এই লক্ষ্য পূরণ হবে । কৃষকেরা সরকারের কাছে ধানের নায্য মূল্যও দাবী করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহান জানান, এবার আবহাওয়া অনুকুল থাকার কারনে রোপা আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। জমির ধানও ভাল হয়েছে। ধান-কাঁটা মাড়াই এর শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে কৃষকরা ধানের বাম্পার ফলন পাবে। আবার বাজেরে ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে।
আইএ/